শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
আরএমপি’তে অপরাধ কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ, দাবি পুলিশের

আরএমপি’তে অপরাধ কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ, দাবি পুলিশের

আরএমপি’তে অপরাধ কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ, দাবি পুলিশের
আরএমপি’তে অপরাধ কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ, দাবি পুলিশের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অপারেশন কন্ট্রোল এন্ড মনিটরিং সেন্টারের প্রথম বর্ষ পূর্ণ হয়েছে। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) রাজশাহী মহানগর পুলিশের এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন। মহানগর পুলিশের দাবি অনুযায়ী, এই ইউনিটের সার্বিক কার্যক্রমের ফলে মহানগরীতে ৩০৪০ শতাংশ অপরাধ হ্রাস পেয়েছে। এটাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইউনিটে ৫০০ সিসি ক্যামেরা প্রতিষ্ঠা করে পুরো মহানগরী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্ল্যান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫০ টির অধিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং বাকি ক্যামেরা স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মহানগরী এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলমান থাকায় সকল ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করতে কিছুটা বিলম্ব হলেও অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

আধুনিক প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সনের আইপি ক্যামেরা ও কমিউনিকেশন টেকনোলজির সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যামেরা হাই রেজুলেশন ভিডিও ধারণ করতে পারে এবং উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ১২ কোরের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় রাজশাহী মহানগরবাসীর নিরাপত্তা, অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণে সর্বাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ও কমিউনিকেশন টেকনোলজি বা সিস্টেমের ব্যবহার করা হচ্ছে।

সূত্রটি জানায়, অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারের মোট জনবল ৯ জন। একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে অপারেশন ও টেকনিক্যাল কার্যক্রমের জন্যে ১ জন ইন্সপেক্টর, ১ জন সাব-ইন্সপেক্টর ও ৬ জন কনস্টেবল এবং বেতার কমিউনিকেশনের জন্যে ৩ জন কনস্টেবল সার্বক্ষণিক ও পালাক্রমে দায়িত্বরত আছেন।

আরএমপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে- আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সর্বাধুনিক এই ইউনিটটি প্রতিষ্ঠার পর রাজশাহী মহানগরী এলাকায় সংঘটিত সকল ক্লু-লেস অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এই ইউনিটটি প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তিতে একটি পরিসংখ্যান ভিত্তিক সাফল্যের কথা জানিয়েছে আরএমপি। এরমধ্যে রয়েছে- শতাধিক চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও চোর শনাক্তকরণ হয়েছে। চুরির ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- স্বর্ণচুরি, বিভিন্ন দোকান চুরি, ওষুধ চুরি, মোবাইল ফোন চুরি, অটো রিক্সা চুরি, মোটরসাইকেল চুরি ও গরু চুরি। প্রায় ২৫ টির অধিক ছিনতাই ঘটনার রহস্য উদঘাটন সহ অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ২০টির অধিক উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় অপরাধী শনাক্তসহ নগরীর কিশোর অপরাধ দমনে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত আছে। ১৫টির অধিক হারানো ঘটনার রহস্য উদঘাটন। গত এক বছরে রাজশাহী মহানগরী এলাকার ২০ টির অধিক মারামারির ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ছেলে/মেয়ে হারানো বা হারিয়ে যাওয়া নাটক করা সহ বিভিন্ন ব্যক্তি হারানোর ১৫টির অধিক ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। শনাক্ত করা হয়েছে ১০টির মত অজ্ঞান পার্টির ঘটনার আসামি। ৫০টির অধিক সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ শনাক্ত সহ দ্রুত সংবাদ প্রেরণ সম্ভব হয়েছে।

১০টির অধিক ক্লু-লেস মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামি শনাক্তকরণে এই ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ইউনিটটি মোট ২৭০টিরও অধিক ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছে।

এছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামের মিছিল-র‌্যালি, সমাবেশ, বিশেষ দিবসের পর্যবেক্ষণের জন্যে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী মহানগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, মোড় ও স্থাপনার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিটটির সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের কারণে বিগত বছরের তুলনায় মহানগরীতে ৩০-৪০ শতাংশ অপরাধ কমেছে।

মহানগর পুলিশের মতে- একটি আধুনিক মহানগরীর পূর্বশর্ত হচ্ছে সকল কিছু ডিজিটালাইজড করা। রাজশাহী মহানগরীকে ডিজিটাল মহানগরীতে রূপান্তরিত করার প্রথম ধাপই হচ্ছে পুরো মহানগরীকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে দেয়া- যা রাজশাহী মহানগর পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিকের প্রচেষ্টায় রাজশাহী মহানগরী ধীরে ধীরে নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত মহানগরী হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আরএমপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply